১০ টি শীতকালীন পিঠার নামের তালিকা
শীতকালীন পিঠার নাম - ধান কাটার পর গ্রামে নেমে আসে উৎসবের আমেজ। নতুন ধান ঢেকিতে ভেঙে চাল হয়ে ওঠার সাথে সাথে বাড়িতে বাড়িতে শুরু হয় পিঠা তৈরির আয়োজন।
নবান্ন উৎসবের এই দিনগুলোতে গোটা গ্রাম মিলে মিশে পিঠা খেয়ে আনন্দ করে। শীতের শুরুতেই খেজুর গাছের রস জ্বালিয়ে গুড় তৈরি করে গ্রামের নারীরা। এই স্বাদিষ্ট গুড় আর নতুন চাল দিয়ে তারা তৈরি করে নানা রকমের পিঠা। পুরো শীতকাল জুড়ে চলে এই পিঠা তৈরির আয়োজন। বাড়ি বাড়ি গুঞ্জন করে ওঠে পিঠার সুবাস আর নতুন চালের ভাতের সুগন্ধ। সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, আজকে আমি আপনাদের সাথে শীতকালীন পিঠার নাম - ১০টি শীতকালীন পিঠার নামের তালিকা নিয়ে এই পোস্টটি সাজানো হয়েছে। তাই এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।
শীতকালীন পিঠা কি?
শীতকালীন পিঠা হল বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। শীতকালে নতুন ধান কাটা হয় এবং খেজুর গাছের রস জ্বালিয়ে গুড় তৈরি করা হয়। এই নতুন চাল ও গুড়ের সমন্বয়ে নানা রকমের পিঠা তৈরি করা হয়।
১০ টি শীতকালীন পিঠার নামের তালিকা - শীতকালীন পিঠার নাম
শীত এলেই বাঙালির মনে জাগে বিভিন্ন ধরনার পিঠার স্বাদ। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন! শীতকাল মানেই বাংলায় পিঠার মৌসুম। নতুন চালের গুঁড়া, নানা রকমের গুড়, নারকেল, খেজুরের রস - এই সব মিলেমিশে তৈরি হয় নানা রকমের পিঠা। আজকে আমরা জানবো শীতকালীন পিঠার বিভিন্ন রকমের নাম সমূহ।
১. ভাপা পিঠা
বাঙালির প্রিয় শীতকালীন পিঠা হলো ভাপা পিঠা। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি জনপ্রিয় শীতকালীন পিঠা। নতুন চালের গুঁড়া, গুড়, নারকেলের খুঁড়ো দিয়ে তৈরি এই পিঠা বাঙালির হৃদয় জয় করেছে। ভাপা পিঠা বাংলার গ্রামীণ জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। শতাব্দী ধরে বাঙালিরা শীতকালে ভাপা পিঠা তৈরি করে খেয়ে আসছে।
ভাপা পিঠা তৈরির উপায়
ভাপা পিঠা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ:
- নতুন চালের গুঁড়া
- গুড়/চিনি
- নারকেলের খুঁড়ো
- পানি
- লবণ (ঝাল ভাপা পিঠার জন্য)
তৈরির পদ্ধতি:
- নতুন চালের গুঁড়া, গুড়, নারকেলের খুঁড়ো এবং পানি মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে।
- একটি পাত্রে জল ফোটাতে হবে।
- মিশ্রণটিকে ছোট ছোট পাত্রে ভরে ভাপে রান্না করতে হবে।
- ১০-১৫ মিনিট পর পিঠা রেড
২.চিতই পিঠা
বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি জনপ্রিয় পিঠা হলো চিতই পিঠা। এর নরম, তুলতুলে আঁটি এবং সহজ প্রস্তুত প্রণালী একে বাঙালির হৃদয় জয় করেছে। চিতই পিঠার বিভিন্ন প্রকার রয়েছে, যেমন দুধ চিতই, রস চিতই, ডিম চিতই, ঝাল চিতই, খোলা চিতই ইত্যাদি।
চিতই পিঠার উপাদান
- চালের গুঁড়া বা আটা
- দুধ
- লবণ
- (বিভিন্ন প্রকারের চিতইয়ের জন্য) ডিম, ঝাল মসলা, রস ইত্যাদি
চিতই পিঠা তৈরির প্রক্রিয়া
চিতই পিঠা তৈরি করা খুব সহজ। চালের গুঁড়া, দুধ এবং লবণ মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করতে হয়। তারপর একটি গরম কড়াইয়ে তেল লাগিয়ে এই মিশ্রণ দিয়ে ছোট ছোট গোলাকৃতি পিঠা তৈরি করতে হয়। পিঠাগুলো একপাশে ফুলে ওঠার পর উল্টে দিতে হয়।
চিতই পিঠা পরিবেশন
চিতই পিঠা গরম গরম পরিবেশন করা হয়। এটি ঝাল ভর্তা, মাংসের ঝোল, ঝোলা গুড়ে নারিকেল মিশিয়ে খাওয়া যায়। রস চিতই সাধারণত মিষ্টি রসে ভিজিয়ে খাওয়া হয়।
৩.পাটিসাপটা পিঠা
বাঙ্গালির প্রিয় খাবার হিসেবে পরিচিত পিঠা হলো পাটিসাপটা পিঠা। বিশেষ করে শীতকালে এই পিঠার স্বাদ অন্যরকম। পাতলা, নরম আঁটা এবং মিষ্টি পুরের মেলবন্ধন এই পিঠাকে করে তুলে অত্যন্ত সুস্বাদু।
পাটিসাপটা পিঠার উপাদান
- আটা: চালের গুঁড়ো, ময়দা, সুজি
- পুর: ক্ষির, নারকেল, চিনি, গোটা মসলা
- অন্যান্য: লবণ, তেল
পাটিসাপটা পিঠা বানানোর পদ্ধতি
পাটিসাপটা পিঠা বানানো খুব একটা কঠিন কাজ নয়। আটা মিশিয়ে পাতলা করে বেলে নিতে হয়। তারপর পুর ভরে মুড়িয়ে ভাজতে হয়। পুর হিসেবে ক্ষির বা নারকেলের পুর ব্যবহার করা হয়।
পাটিসাপটা পিঠার বিভিন্ন রকম
পাটিসাপটা পিঠার অনেক ভেরিয়েশন রয়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে এই পিঠা তৈরি করা হয়।
ক্ষিরের পাটিসাপটা: সবচেয়ে জনপ্রিয় এক ধরনের পাটিসাপটা।
নারকেলের পাটিসাপটা: নারকেলের পুর দিয়ে তৈরি।
গুঁড়ো চিনির পাটিসাপটা: গুঁড়ো চিনি দিয়ে তৈরি।
পাটিসাপটা পিঠা পরিবেশন
গরম গরম পাটিসাপটা পিঠা দুধ বা চা'র সঙ্গে খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু।
৪.নকশি পিঠা
নকশি পিঠা শুধুমাত্র একটি মিষ্টি খাবার নয়, এটি বাঙালির সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং কারুকাজের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই পিঠার গায়ে বিভিন্ন ধরনের নকশা আঁকা হয়, যা দেখতে অত্যন্ত সুন্দর এবং মনোমুগ্ধকর।
নকশি পিঠা তৈরির উপকরণ ও পদ্ধতি
উপকরণ: আতপ চালের গুঁড়া, নারকেল, গুড়, চিনি, তেল ইত্যাদি।
পদ্ধতি: আটার গুঁড়া থেকে কাই তৈরি করা, কাইয়ের মধ্যে নারকেল ও গুড় মিশিয়ে পিঠা তৈরি করা এবং তারপর পিঠার গায়ে নকশা আঁকা।
নকশি পিঠার বিভিন্ন ধরন
পুলি পিঠা: সবচেয়ে জনপ্রিয় নকশি পিঠা।
পাক্কুয়ান: বৃহত্তর ময়মনসিংহের নারীদের বিশেষ দক্ষতার একটি পিঠা।
শঙ্খলতা, কাজললতা, চিরল, হিজলপাতা: বিভিন্ন ধরনের নকশাযুক্ত পিঠা।
৫.মুঠো পিঠা
বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় এবং সহজে তৈরি করা যায় এমন একটি পিঠা হলো মুঠো পিঠা। এর সরলতা এবং স্বাদই একে সবার প্রিয় করে তুলেছে। মুঠো পিঠা সাধারণত চালের গুঁড়ো, লবণ এবং পানি দিয়ে তৈরি হয়। কিন্তু অনেকেই এতে বিভিন্ন মশলা যোগ করে স্বাদ বাড়ান।
মুঠো পিঠা তৈরির উপকরণ
- চালের গুঁড়ো
- লবণ
- পানি
- পেঁয়াজ কুঁচি, ধনিয়া পাতা, লঙ্কা গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো ইত্যাদি (ঐচ্ছিক)
মুঠো পিঠা তৈরির পদ্ধতি
- একটি পাত্রে চালের গুঁড়ো এবং লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিন।
- ধীরে ধীরে পানি দিয়ে মিশিয়ে নরম একটা ডো করে তৈরি করুন।
- ডোটি হাতে নিয়ে ছোট ছোট বল বানিয়ে নিন।
- একটি প্যানে তেল গরম করে বলগুলো ভাজুন।
- দুপিঠে সোনালি হয়ে গেলে তুলে নিন।
মুঠো পিঠা খাওয়ার উপায়
মুঠো পিঠা গরম গরম চা বা কফির সাথে খেলে স্বাদ অনেক বেড়ে যায়। এছাড়াও দই, চটনি বা সসের সাথেও খাওয়া যায়।
৬.কুলি পিঠা
কুলি পিঠা বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহী পিঠা। এর সরল উপকরণ এবং সুস্বাদু স্বাদে এটি সবার প্রিয়। শীতকালে গরম গরম কুলি পিঠা খেতে সবারই ভালো লাগে। বাঙ্গালির এটি একটী প্রিয় খাবার।
কুলি পিঠার উপকরণ
- আতপ চালের গুঁড়ো
- পানি
- চিনি
- নারিকেল
- সুজি
- লবণ
কুলি পিঠা তৈরির পদ্ধতি
চালের গুঁড়ো সেদ্ধ করা: আটপ চালের গুঁড়োকে পানি ও লবণ দিয়ে ভালো করে সেদ্ধ করতে হয়।
পুর তৈরি: নারিকেল, চিনি ও সুজি একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে পুর তৈরি করতে হয়।
পিঠা গঠন: সেদ্ধ করা আটাকে মিশিয়ে ছোট ছোট বল তৈরি করে এর মধ্যে পুর ভরে দিয়ে গোল করে বানাতে হয়।
ভাপ দেওয়া: পিঠাগুলোকে বাঁশের বাটিতে বা অন্য কোনো পাত্রে জড়িয়ে ভাপে রান্না করতে হয়।
৭.তারা পিঠা
বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী খাবার হলো তারা পিঠা । এর স্বাদ ও সুগন্ধ দিয়ে বাঙালির হৃদয় জয় করে নিয়েছে। তারা পিঠা সাধারণত শীতকালে তৈরি করা হয় এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয়।
তারা পিঠার বিশেষত্ব:
আকৃতি: তারা পিঠার আকৃতি তারার মতোই বহুকোণাকার হয়।
স্বাদ: এটি মিষ্টি এবং সুগন্ধি। নারকেল, গুড় এবং মসলার মিশ্রণ একে অনন্য স্বাদ দেয়।
উপকরণ: তারা পিঠা তৈরিতে চালের গুঁড়ো, নারকেল, গুড়, ঘি, ইলাচি, কাজু-বাদাম ইত্যাদি উপকরণ ব্যবহৃত হয়।
তৈরির পদ্ধতি: চালের গুঁড়ো, নারকেল ও গুড় মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করা হয়। তারপর এই মিশ্রণ দিয়ে ছোট ছোট গোলাকার বল তৈরি করে তারার আকৃতি দেওয়া হয়। এরপর ঘিতে ভেজে নেওয়া হয়।
৮.পায়েস পিঠা
পায়েস পিঠা বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহী খাবার। বিশেষ করে শীতকালে এই পিঠাটির চাহিদা বেড়ে যায়। পায়েস পিঠা, নাম শুনেই মুখে জল আসে অনেকেরই। এর মিষ্টি স্বাদ এবং নরম টেক্সচার মনকে প্রফুল্ল করে তোলে।
পায়েস পিঠা কী?
পায়েস পিঠা মূলত দুইটি অংশ নিয়ে গঠিত: পায়েস এবং পিঠা। পায়েস তৈরি হয় দুধ, চাল, এবং চিনি দিয়ে। পিঠাটি তৈরি হয় চালের আটার গুঁড়ো দিয়ে, যা পায়েসের উপর ভেসে থাকে।
পায়েস পিঠার বিভিন্ন ধরন
পায়েস পিঠার বিভিন্ন ধরন রয়েছে, যেমন:-
মুড়ি পায়েস: এই পায়েসে মুড়ি ব্যবহার করা হয়।
খই পায়েস: এই পায়েসে খই ব্যবহার করা হয়।
চালের পায়েস: এই পায়েসে চাল ব্যবহার করা হয়।
মাঠা পায়েস: এই পায়েসে মাঠা ব্যবহার করা হয়।
৯.সুজি পিঠা
সুজি পিঠা বাঙালির অতি পরিচিত এবং প্রিয় একটি নাস্তা। এর সরল উপকরণ এবং সুস্বাদু স্বাদ একে সবার মধ্যে জনপ্রিয় করে তুলেছে। সুজি বা সেমলিনা দিয়ে তৈরি এই পিঠাটি বিভিন্ন আকারে এবং স্বাদে পাওয়া যায়।
সুজি পিঠা বানানোর উপকরণ:
- সুজি
- দুধ
- চিনি
- লবণ
- ঘি
- তেল (ভাজার জন্য)
- অন্যান্য উপকরণ (রসভর্তি পিঠার জন্য নারকেল কোরা, খেজুরের গুড় ইত্যাদি)
সুজি পিঠা বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবারের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর সহজ উপাদান এবং সুস্বাদু স্বাদ একে সবার প্রিয় করে তুলেছে। আপনিও ঘরে বসে সহজেই সুজি পিঠা বানিয়ে খেতে পারেন।
১০.বিয়ের বিবিয়ানা পিঠা
বিবিয়ানা পিঠা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বিয়ের অনুষ্ঠানে একটি জনপ্রিয় মিষ্টি। এর সুস্বাদু স্বাদ ও নরম টেক্সচারের কারণে এটি সবার মন জয় করে।
বিবিয়ানা পিঠা তৈরির উপকরণ:
- চালের গুঁড়ো
- দুধ
- চিনি
- ঘি
- গোটা কাজু, কিশমি
- ইলাচি গুঁড়ো
বিবিয়ানা পিঠা তৈরির পদ্ধতি:
গুঁড়ো তৈরি: চাল ভিজিয়ে পিষে মিহি গুঁড়ো তৈরি করুন।
দুধ ঘন করা: দুধকে ঘন করে নিন।
মিশ্রণ: গুঁড়ো, ঘন দুধ, চিনি এবং ঘি মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
ভাঁজ: মিশ্রণে গোটা কাজু, কিশমি এবং ইলাচি গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে নিন।
পাত্রে সাজানো: মিশ্রণটিকে একটি পাত্রে সুন্দর করে সাজান।
বাষ্পে সেদ্ধ করা: পাত্রটি বাষ্পে সেদ্ধ করে নিন।
শীতকালীন পিঠার নাম
শীতকাল এলেই বাঙালির মুখে জল আসে নানা রকম পিঠার কথা শুনলে। বাংলার রান্নাঘরে শীতকালে পিঠা তৈরির এক অনন্য আয়োজন লক্ষ্য করা যায়। আসুন, শীতকালীন পিঠার নামের একটি বিস্তারিত তালিকা দেখে নেওয়া যাক:
- ভাপা পিঠা
- পাতি সাপেটা
- চিতই পিঠা
- কুলি পিঠা
- ঢেকি পিঠা
- পুলি পিঠা
- পাঁয়েস
- চিতই পিঠা
- নকশি পিঠা
- দুধ পিঠা
- দুধের পুলি
শেষ কথা: ১০ টি শীতকালীন পিঠার নামের তালিকা
শীতকালে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার হল পিঠা। পিঠা তৈরি ও খাওয়া বাঙালির সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। উপরোক্ত আলোচনায় আজকে আমি আপনাদের সাথে শীতকালীন পিঠার নাম সমন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যদি এই পোস্টটি আপনাদের কাছে তথ্যবহুল মনে হয় তবে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url