১০ টি ইনপুট ডিভাইসের নাম বাংলায়

১০ টি ইনপুট ডিভাইসের নাম বাংলায় জেনে আপনি কম্পিউটারের সকল খুঁটিনাটি বিষয়গুলো অবগত হতে পারবেন। কেননা কম্পিউটারের ইনপুট ডিভাইস সমন্ধে আপনার জানা থাকলে সহজেই কম্পিউটার পরিচালনা করা সম্ভব। 

১০ টি ইনপুট ডিভাইসের নাম বাংলায়

তাই আপনারা যারা নতুন কম্পিউটার ব্যবহার শুরু করেছেন তারা ইনপুট ডিভাইস গুলো কি কি এই সমন্ধে পড়ে জেনে রাখতে পারেন। আজকের এই পোস্টটি কম্পিউটারের ইনপুট ডিভাইসগুলো নিয়েই সাজানো হয়েছে। তাই অবশ্যই আপনি এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। 

ইনপুট ডিভাইস কী?

যেসব ডিভাইস বা যন্ত্র দ্বারা কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রদান করা হয় তাকে মূলত ইনপুট ডিভাইস বলা হয়। ইনপুট ডিভাইস হলো এক ধরনের হার্ডওয়ার ডিভাইস। এই ডিভাইসগুলোর সাহায্য আমরা কম্পিউটারে যেকোন তথ্য প্রদান করতে পারি।

ইনপুট ডিভাইস গুলো কি কি

কম্পিউটার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ইনপুট ডিভাইসের অনেকে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কেননা ইনপুট ডিভাইস ছাড়া কম্পিউটার পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাই কম্পিউটারের ইনপুট ডিভাইসগুলো সমন্ধে জেনে রাখতে হবে। নিম্নে ইনপুট ডিভাইস গুলো কি কি তা উল্লেখ করা হলো- 

ইনপুট ডিভাইসের উদাহরণ 

  1. কিবোর্ড (Keyboard)
  2. মাউস (Mouse) 
  3. গ্রাফিক্স ট্যাবলেট (Graphics Tablets)
  4. মাইক্রোফোন (Microphone)
  5.  OMR (Optical Mark Recognition)
  6.  স্ক্যানার (Scanner)
  7. সেন্সর (Sensor) 
  8.  ওয়েবক্যাম (Webcam)
  9.  বারকোড রিডার (Barcode reader)
  10. জয়স্টিক (Joystick)

কিবোর্ড (Keyboard)

কম্পিউটারে লেখালেখির ক্ষেত্রে কিবোর্ড ব্যবহার করা হয়। কিবোর্ডের মাধ্যেমে লেখা টাইপ সহ সকল কমান্ড নির্দেশ করা হয়। কম্পিউটার ব্যবহারে খুবই প্রয়োজনীয় একটি ইনপুট ডিভাইস হলো কিবোর্ড। কম্পিউটার পরিচালনার জন্য প্রায় প্রত্যকে কিবোর্ডে বিভিন্ন টাইপের কী থাকে। যেমন- নাম্বার কী, ফাংশন কী, স্পেশাল কী, অ্যারো কী, অ্যালফাবেট কী ইত্যাদি। কিবোর্ডের প্রত্যেক কী আলাদা আলাদা কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমন- নাম্বার কী দিয়ে সংখ্যা ইনপুট দেওয়া হয়, এলফাভেট কী দ্বারা ইংরেজী-বাংলা অক্ষর বা বর্ণ ইনপুট করা হয়, ফাংশন কী দিয়ে বিভিন্ন কমান্ড নির্দেশ ইনপুট করা হয়। 

মাউস (Mouse) 

কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে মাউস একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট ডিভাইস। মাউসের প্রধান কাজ হলো বিভিন্ন ধরনের নির্দেশ প্রদান করা। মাউস ছাড়া কম্পিউটার পরিচালনা করা খুবই কষ্টকর। কোন কিছু সিলেক্ট করতে হলে সহজেই তার উপর মাউস পয়েন্টার নিয়ে সিলেক্ট করা যায়। ছবি ড্রয়িং করা ও গ্রাফিক্সের কাজ করতে মাউস বেশি ব্যবহৃত হয়। মাউস বাটন চেপে কম্পিউটারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তাই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট ডিভাইস। 

গ্রাফিক্স ট্যাবলেট (Graphics Tablets)

কম্পিউটারে আঁকা ছবি, এ্যানিমেশন এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য এই ইনপুট ডিভাইস ব্যবহার করা হয়। এটিতে এক ধরনের বিশেষ পেন থাকায় সহজেই যেকোন কিছু ড্রয়িং করা যায়। বাস্তবে কাগজ,কলম, রঙ ব্যবহার করে যেমনটা অঙ্কন করা যায় ঠিক তেমন ভাবেই গ্রাফিক্সে ট্যাবলেটে ড্রয়িং করা যায়। এই ডিভাইস দ্বারা কম্পিউটারে হাতে লেখা ও ডিজিটাল স্বাক্ষর দেওয়া সম্ভব হয়। 

মাইক্রোফোন (Microphone)

কম্পিউটারে কোন শব্দ রেকর্ডিং করতে মাইক্রোফোন ব্যবহৃত হয়। মাইক্রোফোন শব্দ তরঙ্গকে বৈদ্যুতিক সংকেতে রূপান্তর করতে পারে। কম্পিউটার এই শক্তিকে তার মেমরিতে সংরক্ষণ করতে পারে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন টাইপের মাইক্রোফোন হয়। যেমন- ডায়নামিক মাইক্রোফোন, কনডেনসার মাইক্রোফোন, রিবন মাইক্রোফোন, ইউএসবি মাইক্রোফোন, লাভালিয়ার মাইক্রোফোন, শটগান মাইক্রোফোন ইত্যাদি। 

OMR (Optical Mark Recognition)

ওএমআর এমন এক ধরনের ইনপুট ডিভাইস যা যেকোন কলমের কিংবা পেন্সিলের কালির দাগ বুঝতে পারে। সাধারণত কোন ডকুমেন্ট বা ফর্মগুলি থেকে মানব-চিহ্নিত ডেটা নেওয়ার জন্য এটির ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাছাড়াও পরীক্কার উত্তরপত্র যাচাই, বাজার সমীক্ষা, জনগণনা ইত্যাদি কাজে OMR ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 

স্ক্যানার (Scanner)

কম্পিউটারে কোন ডকুমেন্ট স্ক্যান করার জন্য এই ইনপুট ডিভাইস ব্যবহার করা হয়। এর মাধ্যেমে কোন লেখা কিংবা ডকুমেন্টের ছবি ইনপুট করা হয়। এবং এটির একটি কপি কম্পিউটারে চলে আসে এবং তা সংরক্ষণ করা যায় এবং তা পরিবর্তিতে সম্পাদনা করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাঠানো যায়।

সেন্সর (Sensor) 

সেন্সর একটি ইনপুট ডিভাইস। এটি এমন এক ধরনের যন্ত্র এমন একটি যন্ত্র যা যেকোন সংকেতকে সনাক্ত করতে পারে। বিভিন্ন ধরনের সেন্সর ভিন্ন ভিন্ন সংকেত সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমনঃ লাইট সেন্সর, সাউন্ড সেন্সর ইত্যাদি।

ওয়েবক্যাম (Webcam)

ওয়েবক্যাম কম্পিউটারে অনলাইন মিটিং করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট ডিভাইস হিসেবে কাজ করে। এটি একটি ভিডিও ক্যামেরা যা কম্পিউটারের রিয়েল টাইম ছবি অথবা ভিডিও ইনপুট দিতে পারে। ইন্টারনেটে ভিডিও চ্যাটিং, ভিডিও রেকর্ড ইত্যাদির কাজে ব্যবহৃত হয়। 

বারকোড রিডার (Barcode reader)

বারকোড রিডার একটি অপটিক্যাল বা আলোক ইনপুট ডিভাইস হিসবে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। বারকোডে চওড়াভাবে পর্যাযক্রমে কতগুলো বিভিন্ন প্রস্থের বার বা রেখা থাকে। একে আবার Universal Product Code ও বলা হয়। দোকান থেকে পণ্য কেনার সময় আপনার পন্যের প্যাকেটের গায়ে এই বারকোড দেখতে পাবেন। এখানে জিনিসের নাম, উৎপাদকের নাম, মূল্য ইত্যাদি তথ্যসম্বলিত বিল তৈরি করা থাকে। 

জয়স্টিক (Joystick)

সাধারণত কম্পিউটারে গেমস খেলার জন্য জয়স্টিক ব্যবহার করা হয়। এটি প্রটিটি গেমারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট ডিভাইস। জয়স্টিকের খাড়া দণ্ডকে হাত দিয়ে মুভ করলে কম্পিউটারের মাউস পয়েন্টার নাড়াচাড়া করে। প্রতিটি গেমারদের তার প্রিয় গেমস খেলতে জয়স্টিক বেশ সহয়তা করে। 

ট্র্যাক বল (Track ball) 

ট্রাকবল হলো এক ধরনের ইনপুট ডিভাইস। যা বেশিরভাগই মাউসের পরিবর্তে নোটবুক কিংবা ল্যাপটপ কম্পিউটারে ব্যবহৃত হয়। এটি এমন একটি বল যা মাউসে অর্ধেক ঢোকানো হয় এবং বলের উপর আঙ্গুল নাড়িয়ে পয়েন্টারটি সরানো যায়। কম্পিউটার ডিভাইস ব্যবহার করতে সহজ করে দিয়েছে এই ইনপুট ডিভাইস-টি।

টাচ প্যাড (Touch Pad) 

একটি টাচপ্যাড সাধারণত ল্যাপটপে ব্যবহৃত হয়। টাচপ্যাড ল্যাপটপ কীবোর্ডের নীচে অবস্থিত। বলা যায়, মাউসের বিকল্প হিসেবে ল্যাপটপে একটি টাচপ্যাড ব্যবহার করা হয়। তাই এটি একটি ইনপুট ডিভাইস হিসেবে কাজ করে। 

শেষ কথা: ইনপুট ডিভাইস গুলো কি কি

উপরোক্ত আলোচনায় আমরা কম্পিউটারের ইনপুট ডিভাইসগুলো সমন্ধে ধারণা নিতে পারলাম। তাই আপনারা যারা নতুন কম্পিউটার ব্যবহার শুরু করেছেন তারা কম্পিউটারে ইনপুট ডিভাইসগুলো পাশাপাশি কম্পিউটারের আউটপুট ডিভাইসগুলো কি কি তা জেনে রাখতে পারেন। যদি এই পোস্টটি আপনার কাছে তথ্যবহুল মনে হয় তবে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। সবাই ভালো থাকবেন।সুস্থ্য থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ! 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

বিজ্ঞাপন